স্বদেশ ডেস্ক:
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-আশরাফুল ইসলাম ফিরোজ (৪৫), শফিক আহম্মেদ শান্ত (৪০), শাহিন মাহমুদ নয়ন (৩৫) ও আবু সালেহ ওরফে শামিম (৪৮)।
আহতরা হলেন-স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল কুদ্দুস (৪৫) ও তার ছেলে যুবলীগ কর্মী সোহান (২৪) , শাহিন মাহমুদ নয়ন ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিক আহম্মেদ শান্ত।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুসের সমর্থক বাপ্পী শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বাসুদেবপুর মধ্যপাড়া থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বাসুদেবপুর রেলস্টেশনের উত্তর পাশে রেলগেটে আওয়ামী লীগ নেতা শফিক আহম্মেদ শান্তর সমর্থকরা তার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। এ সময় প্রতিবাদ করতে গেলে বাপ্পীকে মারধর করা হয়।
বাপ্পী বিষয়টি আব্দুল কুদ্দুসকে জানালে সন্ধ্যায় উভয়পক্ষ মীমাংসায় বসে। তবে বৈঠকে উভয়পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাপ্পী বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। পরে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লিটন জানান, শুক্রবার বিকেলে বাপ্পীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শফিক আহম্মেদ শান্তর সমর্থকরা শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা বাপ্পীকে মারধর করে। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান জানান, ঘটনাটি দলীয় কোনো ঘটনা নয়। গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি করায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।